অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন রোগীরা। অথচ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ অথবা রিপোর্ট তখনও মেলেনি। রিপোর্ট নেই, এই অজুহাতে ফিরিয়ে দিচ্ছে হাসপাতাল। এমন অভিযোগ উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।
বিশেষত মেডিক্যাল কলেজগুলির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত উঠছে। এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও অসুস্থ রোগীকে যেন অবিলম্বে চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এমন নির্দেশিকা জারি করেছেন।
নির্দেশিকায় হাসপাতালগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলেও রোগীকে ভর্তি করাতে হবে। প্রয়োজনে রোগীকে সারি ওয়ার্ডে রেখে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে রিপোর্ট জানতে হবে। রোগী স্থিতিশীল না হলে তাঁকে অন্য কোনও হাসপাতালে পাঠানো যাবে না।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, বেড না থাকলে যদি রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়, সে ক্ষেত্রে যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সেখানে বেড আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখেছেন যে সব কারণে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হাসপাতালে বেড না পাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারছেন না সঠিক সময়ে, ফলে বাড়িতেই মৃত্যু হচ্ছে।
আবার অনেক সময়, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেই, এই অজুহাতে হাসপাতালগুলো থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এমন ঘটনা বেশি ঘটছে বলেও নজরে এসেছে আধিকারিকদের। তাই মেডিক্যাল কলেজগুলো যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠানো সবথেকে ভালো, সেখানে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর এম আর বাঙুর হাসপাতাল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের অজুহাত দিচ্ছে না। সেখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন অনেকেই।তাই রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের ক্ষেত্রে সেই মডেল অনুসরণ করা হক, এমনটাই চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। পরবর্তীতে কোনও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে এই নির্দেশিকার কথা রোগীর পরিবার উল্লেখ করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।
Be the first to comment