মাঝে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। বাংলা, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পদুচেরিতে ভোটগণনা রবিবার। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে। পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে গোনা হবে ইভিএমও। টানা ১ মাস ২০ দিনের বেশি এই ভোটযাত্রার সমাপ্তি হবে রবিবার।প্রাথমিকভাবে সকাল ১০টা থেকেই একটা ট্রেন্ড বোঝা যাবে। কার পাল্লা ভারী, কোন রাজ্যে কে বসবে মসনদে তার একটা সূক্ষ্ম ধারণা করা যাবে। বিকেল ৫টার মধ্যে কার্যত ফলটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এবার যেহেতু করোনার আবহ, তাই গণনাকাজে কিছুটা বিলম্ব হলেও হতে পারে কারণ, কমিশনের প্রথম শর্তই স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণনা এগোনো। বারবার স্যানিটাইজেশন-সহ অন্যান্য সবকিছু সঙ্গে রেখেই চলবে ভোট গণনা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন চার রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পশ্চিমবাংলায় ৮ দফায় ভোটের কথা জানায় কমিশন। এদিকে অসমে তিন দফা এবং বাকি তামিলনাড়ু, কেরল, পদুচেরিতে এক দফাতেই ভোট হয়।
এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবথেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বাংলার ভোট। এখানে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৯২টিতে ভোট হয়েছে। বাকি দুই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় ভোট স্থগিত। এখানে একদিকে যেমন শাসকদল নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। তেমনি এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিজেপিও মসনদ দখলে আত্মবিশ্বাসী।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অসম বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েছিল বিজেপি। এবার সেই জয় ধরে রাখাই তাদের মূল চ্যালেঞ্জ। এখানে ১২৬ আসনে ভোট হয়েছে। তামিলনাড়ুতে ২৩৪টি আসনের লড়াই মূলত মুখ্যমন্ত্রী ইকে পালানিস্বামী ও এমকে স্ট্যালিনের মধ্যে। ১৪০ আসনের কেরলে আবার বাম মোর্চা এলডিএফ (LDF), কংগ্রেসের মোর্চা ইউডিএফ (UDF) ও বিজেপির লড়াই।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির ৩৫টি আসনের মধ্যে আবার দু’টি সংরক্ষিত। সেখানে কংগ্রেস জোট ইউপিএ (UPA) ও বিরোধীদের এআইএনআরসি (AINRC)-এর লড়াই।
Be the first to comment