নির্দেশিকায় এলো সামান্য বদল, অনধিক ৫০ জনের জমায়েতে বিয়ের অনুষ্ঠানে অনুমতি দিল রাজ্য

Spread the love

রাজ্যের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শুক্রবারই একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজ্যে বড় কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, অন্নপ্রাশন,শ্রাদ্ধানুষ্ঠান জলসা ইত্যাদি বন্ধ রাখা হবে।

শনিবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। শুধু বিয়েবাড়ি নয়, অন্যান্য পারিবারিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। বিয়েবাড়়িতে করোনা সংক্রান্ত বিধি মেনে চলা যেমন মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যাবহার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, এদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যের সমস্ত শপিং মল, শপিং কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম,স্পা, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে।

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। যা রাজ্য সরকারকে উদ্বেগে রেখেছে। কলকাতায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি আঁচ করে হাসপাতালের বেড বাড়ানোর পাশাপাশি সম্প্রতি সেফ হোমের পরিকাঠামো বাড়াতে আরও তৎপর হয় রাজ্য প্রশাসন।

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি, এমনই মনে করছিল অভিজ্ঞ মহল। কিন্তু নির্দেশিকায় অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিয়ে বাড়ি বন্ধ রাখার নির্দেশিকায় মাথায় হাত পড়েছিল অনেক বহু পাত্র-পাত্রী এবং তাঁদের পরিবারের মাথায়। করোনা সতর্কবিধি মেনে পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছাড় দেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে অনেকেই।

অন্যদিকে নবান্ন জানিয়েছিল, শর্তসাপেক্ষে খোলা থাকবে বাজার। সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা যাবে দোকান। শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, ষুধের দোকান, ওষুধের সরঞ্জাম কেনার দোকান, মুদি দোকান, মাংসের দোকান, যানবাহন চলাচল, বিদ্যুৎ, টেলিকম ইত্যাদি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*