করোনায় সেকেন্ড ওয়েভে দিশেহারা গোটাদেশ। পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই হু-হু করে বাড়ছে সংক্রমণের দাপট। ঊর্ধ্বমুখী মৃতের গ্রাফচিত্রও। চোখের সামনে শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যুছিল, হাহাকার আর যন্ত্রণা যেন চোখসওয়া হয়ে গিয়েছে। তবুও বাধ মানছে না মন। একের পর এক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় মানসিক অবসাদে এবার নিজেই আত্মহত্যা করলেন খোদ চিকিৎসক।
রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মৃত ওই ডাক্তারের নাম বিবেক রাই। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক রাজধানীর ওই বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে রেসিডেন্ট ডাক্তর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত একমাস ধরে তিনি হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে কাজ করছিলেন। চোখের সামনে প্রতিদিন এত মানুষের মৃত্যু মিছিল দেখে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর সেই অবসাদ থেকেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ রবি ওয়াংখেড়েকর।
এই বিষয়ে মৃত ওই চিকিৎসকের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে একজন অসামান্য চিকিৎসক ছিলেন বিবেক রাই। গত কয়েকমাস ধরেই আইসিইউতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন তিনি। এর আগেও অসংখ্য করোনা সংক্রমিত রোগীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে চোখের সামনে প্রতিনিয়ত অক্সিজেন, ওষুধের অভাবে রোগীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন তা আর মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। আর সেঔ মানসিক অবসাদ থেকেই হয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ডঃ বিবেক রাই সদ্য বিয়েও করেছেন। তাঁর স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দক্ষিণ দিল্লির মালব্য নগর থানার পুলিশ জানিয়েছেন, নিজের ঘরেই আত্মহত্যা করেন বিবেক। তবে তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। যদিও তাতে তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি তিনি।
Be the first to comment