২০১১ সালের পালাবদলে অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। সেই সিঙ্গুরেও এ বার আসল পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। যদিও বিজেপি প্রার্থী করেছিল তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে গোঁসা করে বিজেপিতে যাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। এ দিন ৯০ উর্ধ্ব সেই প্রবীণ রাজনীতিককে বিরাট ব্যবধানে সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত করলেন তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম রান্না।
সূত্রের খবর, প্রায় ২৫ হাজার ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের মাটি থেকে জয়লাভ করেছেন বেচারাম। জয়ের পর এর পুরো কৃতিত্ব তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিয়েছেন সিঙ্গুরের বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। অন্যদিকে, এখানকার বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মনে করছেন, দলবদলের কারণেই তাঁকে এই হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
লক্ষ্যণীয়ভাবে, তৃণমূলের যে যে নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই ভোটগণনা শুরু হওয়ার সময় থেকেই পিছিয়ে রয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন সিঙ্গুরের পাঁচবারের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যও। বয়সের কারণে নেত্রী তাঁকে টিকিট না দেওয়ার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতার দীর্ঘ দিনের সৈনিক। এরপর তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি।
কিন্তু ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম প্রতীক তুলে নেওয়ায় খুব একটা লাভবান হতে পারলেন না রবীন্দ্রনাথ। বরং বেশ বড় ব্যবধানেই হারতে হল তাঁকে। এই দুই প্রার্থীর তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি সাড়ে ১৬ হাজারের মতো ভোট পেয়েছেন।
Be the first to comment