অপ্রতিরোধ্য থাকলেন বিদেশ বসু। উলুবেরিয়া পূর্ব কেন্দ্রে দুরন্ত জয় পেলেন তৃণমূল প্রার্থী বিদেশ বসু। বিজেপির প্রত্যুষ মন্ডলকে ১৭ হাজার ২১২ ভোটে হারালেন তিনি। উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ছিলেন আব্বাসউদ্দিন আনসারী। তিনি বিদেশ বসুর ধারে কাছেও নেই। বহুদিন ধরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় বিদেশ বসুকে। তবে তিনি এতদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়াননি। এই প্রথম প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেই কাঁপিয়ে দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার। ফুটবল মাঠে থাকাকালীন যে ভালবাসা মানুষের থেকে পেয়েছিলেন, রাজনীতির ময়দানে নেমেও সেই ভালবাসা অক্ষুন্ন থাকল তাঁর প্রতি।
ক্রিকেটের ২২ গজে তিনি বরাবরই দাপট দেখিয়েছেন। তবে রাজনীতির ময়দানে নেমে কি একইরকম দাপাদাপি করতে পারবেন মনোজ তিওয়ারি! এই নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের জার্সি পরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন মনোজ। ভোট গণনার আগেরদিন তিনি ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। জানিয়েছিলেন, তাঁর ও দলের প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। ফলে তেমন একটা টেনশন করছেন না। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন।
গণনার আগেরদিন ছিলেন পরিবারের সঙ্গে। পুজোআচ্চাও করেছিলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। শিবপুর কেন্দ্র থেকে মনোজ তিওয়ারি জয়ী হলেন। ক্রিকেট মাঠে সর্মথকরা তাঁকে যেমন ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতির আঙিনাতেও মানুষ তাঁর সঙ্গেই থাকলেন। মনোজ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছেছিলেন তিনি। মানুষ তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন বাংলার জনপ্রিয় ক্রিকেটার।। ক্রিকেট মাঠ প্রায় ছেড়ে তিনি এখন মানুষের মাঝে। মনোজ জানিয়েছিলেন, মানুষের সেবা করাই এখন তাঁর জীবনের একমাত্র ব্রত। এবার তাঁর সামনে সেই সুযোগ। মানুষের ভালবাসা ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ।মনোজ নিশ্চয়ই এই ভালবাসার মূল্য দেবেন!
Be the first to comment