নির্বাচনের মতো ভোটগণনার দিনও টানটান নাটক চলল নন্দীগ্রামকে ঘিরে। মহানাটকের পর শেষমেশ নন্দীগ্রামে জয়ের হাসি হাসলেন শুভেন্দু অধিকারীই। জয় ঘোষণার পরই টুইটারে বিজেপি নেতা লিখেছেন, ‘ আমার উপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।’
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর প্রথমে সামনে আসে। কিছুক্ষণ বাদেই জানা যায়, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন মমতা। এই নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, ‘কারচুপি হয়েছে, আমরা কোর্টে যাব।’
নন্দীগ্রামে ফলের এই রদবদল নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আমরা দুশোর বেশি আসনে জিতেছি। একটা আসনে হারা জেতা বড় ব্যাপার নয়। ওরা একবার ঘোষণা করে দিয়েছিল যে আমি জিতে গিয়েছি। এখন বলছে হেরে গিয়েছি। এটা কী করে হয় জানি না। ওখানকার মানুষ যে রায় দিয়েছেন তা মেনে নিচ্ছি। ওখানে ভোটগণনা যাতে রিভিউ করা হয়, সেই দাবি জানাব। দরকার হলে আদালতে যাব।’ এক সংবাদমাধ্যমে মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামে পনর্গণনার দাবি জানাব। অনেক EVM-এ কারচুপি হয়েছে। ২০২১ সালের নির্বাচনটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল।’
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নন্দীগ্রাম। ভোটের মুখে তৃণমূল চেড়ে BJP-তে যোগ দিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে মমতা নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করে দেন, তিনি নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়বেন। এরপরই মমতাকে আধলাখেরও বেশি ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
Be the first to comment