একুশের জয়ের পর এবার নজরে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সম্ভবত আগামী ৫ মে শপথ গ্রহণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিষদীয় দলনেত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হল। মমতাকে পরিষদীয় দলনেত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন বিজয়ী বিধায়করা। আগামী ৬ তারিখ থেকে জয়ী বিধায়করা শপথ নেবেন। এদিন তৃণমূল ভবনে একথা জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গোটা রাজ্যে ২০১৩ টি বিধানসভা আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন হাজারদুয়েক ভোটের ব্যবধানে। এই নিয়ে তৃণমূলের এখনও কিছু দাবি-দাওয়া থাকলেও তৃতীয়বার শপথগ্রহণ আটকাচ্ছে না মমতার। বাকি বিধায়করা মিলে তাঁকেই মনোনিত করেছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ তিনি নিতেই পারেন, তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে হবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে।
https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/1045994029137441/
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, বিধায়কদের শপথপাঠ করাবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রোটেম স্পিকার হচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে, আজ সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নামের তালিকা জানাতে পারেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের শপথগ্রহণের পালা শেষ হলেই শুরু হবে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৯ মে শপথ নিতে পারে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্ত্রিসভা। তবে এ বারের মন্ত্রিসভায় যে বেশ বড়সড় কিছু রদবদল দেখা যেতে পারে, তা আগে থেকেই বলে দেওয়া যায়। কেননা, গতবারের বহু বিধায়ক তথা মন্ত্রীকে এ বারে টিকিট দেননি মমতা। উত্তরবঙ্গের এমন কিছু হেভিওয়েট শাসকদলের নেতা রয়েছেন যারা ভোটে হেরে গিয়েছেন। ফলে মন্ত্রিসভাতেও যে এ বার বহু নতুন মুখ দেখতে পাওয়া যাবে, এবং তাতে চমকও থাকবে, তা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার বড় করে শপথ অনুষ্ঠান করা হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন মমতা। পরে ব্রিগেড ময়দানে উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে বিজয় মিছিল না করার বার্তা দিয়েছেন মমতা। ‘মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য’, এমনটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment