ভোট পরবর্তী হিংসায় রবিবার সোনারপুরে বলি হয়েছেন আরও একজন । এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ৷ জানা গিয়েছে, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম হারান অধিকারী । তিনি সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা । মঙ্গলবার দুপুরে নিহত এই বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ একটি প্রতিনিধি দল ।
এদিন নাড্ডার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী অঞ্জনা বসু, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব । বিজেপির তরফে দাবি, হারান অধিকারী-সহ ভোট-পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন আরও ১০ বিজেপি কর্মী-সমর্থক । এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা বর্তমানে বারুইপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এই ঘটনার জেরে তিনজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ । নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ নেন সর্বভারতীয় সভাপতি । পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন নাড্ডা ।
জেপি নাড্ডা বলেন, “এটা বাংলার সংস্কৃতি নয় ৷ এখানে গুন্ডারাজ চলছে ৷ ভোটে জেতার পর তৃণমূলের গুন্ডারা অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে । বাংলায় নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে নারী ধর্ষণ প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছে । বাংলার সংস্কৃতিকে একমাত্র রক্ষা করতে পারে বিজেপি । আমরা এখনও লড়াই ছাড়িনি ৷ আমরা বাংলার মানুষের পাশে আছি । যেসব তৃণমূলের গুন্ডারা ভাবছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করে বিজেপির কণ্ঠরোধ করতে পারবেন তারা ভুল করছে ৷ বিজেপি অপ্রতিরোধ্য । আমরা গণতন্ত্রকে সম্মান করি ৷ আমরা প্রজাতান্ত্রিক ভাবে আমাদের নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে জানি । বাংলার মানুষ ও বাংলাকে সম্মান করতে পারে না এই সরকার ।”
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর একাধিক জায়গায় হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবং প্রতিটা ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল । মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা । এই দু’দিনে বঙ্গ বিজেপি নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বিজেপির বিধানসভায় ফল নিয়ে পর্যালোচনা যেমন হবে পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা । এদিন সোনারপুরে পাশাপাশি নরেন্দ্রপুরেও বিজেপি আহত কর্মীদের বাড়িতে দেখতে যান নাড্ডা ।
Be the first to comment