একুশের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফের কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে ফেরানো হল ফিরহাদ হাকিমকে। মঙ্গলবার নবান্নের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে ফেরানো হচ্ছে ফিরহাদকে। উল্লেখ্য, ভোটের মুখে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে ইস্তফা দেন ফিরহাদ হাকিম। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই এই পদ থেকে ফিরহাদ ইস্তফা দেন। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব খলিল আহমেদকে।
সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত নতুন বোর্ড গঠন না হচ্ছে, ততদিন দায়িত্ব সামলাবেন খলিল। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জানানো হয়েছিল যে, যেসব মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভা ও পুরনিগমে প্রাক্তন মেয়র বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছিল, ভোট চলাকালীন তাঁরা সেই পদে কাজ করতে পারবেন না। রাজ্যের একশোরও বেশি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর। নির্বাচন না হওয়ায় সেগুলিতে মেয়র, চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদদেরই প্রশাসক বদে বসানো হয়েছিল। একুশের নির্বাচনের সময় পুরসভার প্রশাসক বদে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা থাকলে প্রভাব খাটাতে পারেন তাঁরা, এমন অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল BJP। তারপরই এমন নির্দেশিকা জারি করে কমিশন।
এই মুহূর্তে রাজ্যে কলকাতা-সহ ১১২ পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেখানে প্রশাসক বা প্রশাসকমন্ডলী বসানো ছিল। এর একটা বড় অংশেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে দু বছর আগে। এক সঙ্গে সব পুরসভার ভোট হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ রাজ্য সরকার উত্তর ২৪ পরগনার ছয় পুরসভাকে নিয়ে একটি বৃহৎ পুরনিগম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।
এছাড়াও বালি পুরসভাকে হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। সেইমতো ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাস করে বালি পুরসভার ৩৫ ওয়ার্ডকে হাওড়া পুর নিগমের ১৫ ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগে রাজনৈতিক কারণে রাজ্য সরকার আবার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বালি পুরসভাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য খসড়াও তৈরি করা হয়। তাই এখনই পুরভোট হলে ১১২ পুরসভায় ভোট হবে, না ১০৫ পুরসভায়, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সবার আগে।
Be the first to comment