বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শপথ নেওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আমার ছোট বোন’ বলে সম্বোধন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
অতীতে একাধিকবার রাজ্য-রাজভবন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু তৃণমূলের জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে কী অতীতের তিক্ততা ভুলে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের নতুন শুরু? এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণের ঠিক পরের মুহূর্তেই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বার্তা দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার প্রথমে ভিত্তিহীন, ভয়ানক ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা আটকাতে হবে। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে এইধরনের হিংসার ঘটনা আটকানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন। আমার পূর্ণ বিশ্বাস,মুখ্যমন্ত্রী, আমার ছোট বোন হিংসার ঘটনা কড়া হাতে দমন করবেন।’
প্রসঙ্গত, ৩ মে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে রাজ্য পুলিশের DG পি নীরজনয়ন-কে তলব করেছিলেন জগদীপ ধনকড়। এই কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছিলেন, ‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের DGP-কে ডেকে পাঠিয়েছি।’রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘DG-কে ডাকতেই পারে। ওরা নিয়োগ করেছে, ডেকেছে ভালো করেছে।’
এদিকে শপথবাক্য পাঠ করেই এদিন নয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় শান্তি বজায় রাখুন। কেউ প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করবেন না।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘কেউ অশান্তি করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এদিন মমতা বলেন, ‘এতদিন নির্বাচনের কারণে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা কমিশনের আওতায় ছিল। এবার রাজ্যে অধীনে তা আনা হবে।’
রাজ্যে হিংসা দমনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে প্রথমেই মমতার নজর কোভিড পরিস্থিতির দিকে। বুধবার রাজভবনে তিনি বলেন, ‘প্রথম কাজ হবে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।’ শপথ নেওয়ার পরেই রাজভবন থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেখানে তাঁকে কলকাতা পুলিশের তরফে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কোভিড মোকাবিলায় বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment