রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণের এক ঘণ্টা পার না হতেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন। আর রাজ্যপালের এই আচরণের সমালোচনা করে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের বালিগঞ্জের বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপালের এই মন্তব্য অত্যন্ত কুরুচিকর। একটা নতুন সরকার সবে শপথ নিয়েছে, তখন এই ধরণের কথার থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না।” একই ভাবে রাজ্যপালের সমালোচনা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারটা সবে শপথ নিয়েছে। দেখুন কী হয়।”
রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক কোনওদিনই মধুর ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার শপথ নিতেই আবার সেটাই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতেই রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে দাঁড় করিয়েই রাজ্যের ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের এই আচরণ কুরুচিকর, নিন্দনীয় বলে সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃতীয় বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন। শপথ বাক্য পথ কোরান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এরপর তৃণমূল নেতা-সহ শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। এরপরই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ধনকর। তিনি বলেন, “ভারত ও বাংলা একটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যে লাগাতার ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে।” এরপরই কটাক্ষের ভঙ্গিতে রাজ্যপাল বলেন, “আশা করি নতুন সরকার কড়া হাতে করোনা ও নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণের পরই রাজ্যকে বিঁধে রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যকে মোটেও ভালভাবে নেননি রাজভবনে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা।
তবে রাজভবনে দাঁড়িয়েই রাজ্যপালের পাশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তিন মাস নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে আইনশৃংখলা ছিল। তাদের কাজে অব্যবস্থা ছিল। আমি আজ থেকে কঠোর হাতে সবটা মোকাবিলা করব। রাজ্য অশান্তি চায় না। আমিও চাই না। যে বা যারা অশান্তি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে।”
Be the first to comment