মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় দফার সরকারের সূচনার দিনই তীব্র আক্রমণে নামল বিরোধীরা। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বেনজির ভঙ্গিতে মমতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ভোট পরবর্তী হিংসাকে হাতিয়ার করেই যে শুরু থেকেই যে শাকসদের প্রবল চাপে রাখা হবে, সেটাও কার্যত পরিষ্কার করে দিয়েছে বিজেপি। হিংসায় স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবারই রাজ্যে এসেছিলেন নাড্ডা। বুধবার আটঘাট বেঁধে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। কোনও ভাবে ছেড়ে কথা না বলার ইঙ্গিত দিতে ও তৃণমূলকে আক্রমণ করতে বৈঠকে টেবিলের পিছনের দৃশ্যপটও ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ। সেখানে বড় বড় করে লেখা দেখা যায়, ‘তৃণমূলের জয় না মানবতার হার?’
বৈঠক থেকে সোজা মমতাকে নিশানা করে নাড্ডার অভিযোগ, নির্বাচনের পর ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা থাকলেও হিংসার ঘটনায় তাঁর নীরবতাই বলে দেয় তিনি নিজেও এতে যুক্ত। বিজেপি সভাপতির কথায়, “মমতা নিজের তৃতীয়বারের সরকার রক্তমাখা হাতে শুরু করলেন।”
প্রসঙ্গত, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে বহু দলীয় কর্মীকে অসমের মতো ভিনরাজ্যে আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন সে রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতারা। সেই দাবির সূত্র টেনেই সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নড্ডা বলেন, “আমার আজ দেশভাগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।” তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “নৃশংস হত্যালীলার পরও মমতাজি যেভাবে ৩৭ ঘণ্টা নীরব ছিলেন, সেটাই বলে দেয় তিনি নিজে কতটা জড়িত এই সমস্ত ঘটনায়।”
পাশাপাশি রাজ্যের একটা বড় অংশের মেয়েদের ভোট পেয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও এখন তৃণমূল মহিলাদের উপর অত্যাচার করছে বলে দাবি করেন নাড্ডা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্লীলতাহানী বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে, এমনটাও দাবি করেছেন তিনি। একের পর গ্রামজুড়েও অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আমফান দুর্যোগের পর এবার সন্দেশখালী-সহ দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের ‘মমতাফানের’ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলেও তিনি খোঁচা দেন। জে পি নাড্ডার সাফ কথা, “মমতা জনগণের রায় পেয়েছেন, কিন্তু মানবতা হেরে গিয়েছে।”
Be the first to comment