শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল, সিট গঠন করল সিআইডি। চার সদস্যের সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি সিআইডি। চতুর্থ দফার নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। জোরপাটকি এলাকায় সিআরপিএফের গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। তাতে মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর। আধা সামরিক বাহিনীর তরফে গুলিচালনার কথা স্বাকীর করে নেওয়া হয়। তবে বলা হয়, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয়েছিল কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানদের। আচমকাই ৩০০-৪০০ জন উন্মত্ত গ্রামবাসী তাঁদের ঘিরে ধরেছিল, আর পরিস্থিতি সামলাতেই গুলি চালাতে হয়।
যদিও গ্রামবাসীরা পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁরা ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। পথে একটি বাচ্চাকে মারধর করেন এক জওয়ান। প্রতিবাদ করাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় সিআরপিএফ। তবে চতুর্থ দফার নির্বাচনে সমাজের একাধিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, শীতলকুচিতে ঠিক কী ঘটেছিল, কতটা ভয়ঙ্কর হয়েছিল পরিস্থিতি, যার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা।
ঘটনার পর শীতলকুচি যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে শহিদ বেদি তৈরির কথা ঘোষণা করেন। বুধবারই তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শীতলকুচির ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন। তদন্তের স্বার্থে গঠিত হয় বিশেষ দল।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মৃত চার জনের পরিবার মাথাভাঙা থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছিল, সেই এফআইআর-কেই হাতিয়ার করে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। চার সদস্যের তদন্তকারী দল প্রথমে ওই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করছেন।
পাশাপাশি মাথাভাঙা থানার আধিকারিক, যিনি ওই ঘটনার তদন্ত করেছিলেন, তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। পর্যায়ক্রমে ওই দিন ওই এলাকায় জেলা পুলিশের যে আধিকারিকরা ছিলেন, তাঁদেরকেও তলব করা হবে। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, তার পুনর্নির্মাণও করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
Be the first to comment