রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। কোথায় কত ঘটনা, কী পদক্ষেপ করেছে সরকার তা জানতে চায় আদালত। সোমবারের মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত কোথায় কোথায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে, কতজনের প্রাণহানি হয়েছে, রাজ্য সরকারই বা এই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করেছে তার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে আদালত। সোমবারের মধ্যে এই হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট হলফনামা আকারে হাইকোর্টে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে পেশ করতে হবে।
মূলত দু’টো মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল একটি মামলা করেছিলেন। অন্যদিকে অনিন্দ্যসুন্দর দাস আরেকটি মামলা করেন। মূলত ভোটের ফল প্রকাশের পর বিভিন্ন জায়গায় হিংসা নিয়ে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কোথায় কী হিংসা হচ্ছে আইনজীবীরা তা তুলে ধরেন।
এরপরই শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সাংবিধানিক একটি বেঞ্চ গড়ার পরামর্শ দেন। প্রধান বিচারপতি-সহ আরও চারজন বিচারপতির এই বেঞ্চ আগামী সোমবার দুপুরে মামলাটি শুনবেন। এ ধরনের নির্দেশ কার্যত নজিরবিহীন। সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সাধারণত দেখা যায় ডিভিশন বেঞ্চই যে কোনও মামলার ফয়সলা করে। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর হিংসা এতটাই বেশি হয়েছে যে, সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রয়োজন হল বলে মনে করছেন বিচারপতিরা।
নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে হাইকোর্ট যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, এই নির্দেশে সেই প্রমাণই মিলল। এখনও অবধি দু’টি মামলা এই ঘটনায় দায়ের করা হলেও কার্যত বেনজিরভাবে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এই শুনানির জন্য। মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস বলেন, “শুনানি ঠিকই আছে। কোর্ট কোর্টের মত করে চলবে। আমি আশাবাদী। তবে ভোট গণতন্ত্রের উৎসব। সেখানে রক্তের খেলা হলে তা ভয়ঙ্কর ব্যাপার।”
Be the first to comment