ভয় দেখানোর জন্যই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের একাংশের ধস্তাধস্তির জেরে বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর সেই বিষয়কেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এই প্রথম শুক্রবার রাজ্য অফিসে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সব জেলায়
প্রত্যেক নেতা যাবেন। যাঁরা এলাকা ছাড়া, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে হবে। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁর হিসাব নেওয়া হয়েছে। দলের তরফে কর্মীদের ক্ষতি মিটিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এলাকা ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে প্রশাসনের তরফ থেকে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ।
এরপরই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের ভয় দেখানোর জন্যই বিধানসভায় নিরাপত্তারক্ষীদের ঢুকতে মানা করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বেলা ৩.৪৫ মিনিটে বিধানসভায় ঢোকেন। সে সময় বিধানসভা থেকে বেরোচ্ছিলেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। এদিকে, শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন তাপসী মণ্ডল, মনোজ টিজ্ঞা, সুদীপ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। বৃহস্পতিবার কার্যত শূন্য প্রোটেম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে শপথবাক্য পাঠ করান। বিধানসভা থেকে বেরনোর সময়েই সংবাদিকরা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে কয়েকটা প্রশ্ন করেন। সংবাদিকদেরই একাংশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীদের।
সাময়িকভাবে বিধানসভার বাইরে একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুভেন্দুর নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন সংবাদকর্মীরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই নিয়ে বিধানসভায় লিখিত অভিযোগও জানান তাঁরা। এরপরেই সিদ্ধান্ত হয় আজ থেকে বিধানসভায় ঢুকতে পারবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।
Be the first to comment