করোনা আক্রান্ত যে সব রোগী বাড়িতে ‘হোম আইসোলেশনে’ থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন তাঁদের ‘ডক্সিসাইক্লিন’ বা ‘আইভারমেকটিনে’র মতো বেশ কিছু ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দেওয়া হচ্ছে ভিটামিন সি, জিঙ্কোভিট। আর বাজারে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে সে সব ওষুধ। দ্বিগুণ বা তিন গুণ দাম দিয়ে রোগীকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। বাড়ছে কালোবাজারি। আদতে বাজারে ওষুধের পরিমাণ কমে যাওয়াতেই এই অবস্থা। এর ফলে যিনি আক্রান্ত হচ্ছে তাঁকে ওষুধ কিনতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। অন্য দিকে, আক্রান্ত হননি এমন অনেকেই আতঙ্কে এই ওষুধ বেশি করে কিনে বাড়িতে রেখে দিচ্ছেন। ফলে, ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়ছে। তাই এবার এই সব ওষুধের জন্য নির্দেশকা আনলো স্বাস্থ্য দফতর।
করোনার আর এক ওষুধ রেমডেজিভির নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে আগেই। সাধারণত করোনা আক্রান্তের অসুস্থতা বাড়লে এই ওষুধ দেওয়া হয়। আর এই ওষুধ যাতে কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিনতে না পারেন, তার জন্য আগেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই ওষুধর কোম্পানির কাছ থেকে কেবলমাত্র হাসপাতাল বা নার্সিং হোমগুলিই কিনতে পারবে। হাসপাতালগুলি তাদের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের বেড কত, কত জন রোগী আছেন- এ সব তথ্য দিয়ে ওষুধ কিনতে পারবে। দেশ জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ওষুধের অভাব এতই প্রকট হয়েছে যে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।
শুধু ওষুধ নয়, অক্সিমিটারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়েও হচ্ছে কালোবাজারি। চার-পাঁচগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সেগুলি। এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম নিয়েও কালোবাজারি চলছে রাজ্যে।
Be the first to comment