দেশে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষেরও বেশি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে সুনামির আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশ জেরবার। কিন্তু দেশের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির কারণ কী? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে কুম্ভ মেলা ও ৫ বিধানসভায় লাগাতার নির্বাচনী প্রচারের ফলেই করোনা হু হু করে ছড়িয়েছে। তাই দুই ক্ষেত্রের করোনাবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এ বার সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে।
আইনজীবী পাঠকের আবেদনের ভিত্তিতে করোনাবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের শুনানি হবে ৩ সদস্যের বেঞ্চের সামনে। সোমবারই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভট এই মামলার শুনানি করবেন। দেশের করোনা পরিস্থিতি শোচনীয় হওয়ার পিছনে নির্বাচনী প্রচার ও কুম্ভ মেলাকেই দুষছেন চিকিৎসকরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডঃ নভজোৎ দহিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই ‘সুপার স্প্রেডারের’ তকমা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, বড় বড় রাজনৈতিক জমায়েতের জন্যই করোনা এত বিশাল আকারে ছড়িয়েছে।
কুম্ভ মেলায় দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে অরক্ষিত মুখে লাখো লাখো পুণ্যার্থী শাহি স্নানের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েকদিনের মধ্যেই কয়েকগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। যাঁরা কুম্ভ থেকে ফিরেছেন, তাঁদের মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়েছে সংক্রমণ। তাই কুম্ভের পুণ্যার্থীদের ‘সুপার স্প্রেডার’ তকমা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে করোনাবিধি ভঙ্গের মামলা গড়াল শীর্ষ আদালতে।
Be the first to comment