কেন্দ্রকে জবাবি চিঠি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Spread the love

কেন্দ্রীয় সরকারের শোকজের জবাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের প্রশ্নের উত্তরে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই কলাইকুণ্ডায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আলোচনার পরে রিপোর্ট জমা করে অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে আসি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই আমরা বেরিয়ে আসি।’ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে যেহেতু তিনি কাজ করেন। তাই তাঁর নির্দেশ মেনেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

নবান্ন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন। একই চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পক্ষ থেকেও।

মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্র। এই নোটিশে বলা হয়েছিল, একাধিক প্রোটোকল ভেঙেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। মঙ্গলবার শোকজ নোটিশ হাতে পেয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন্দ্রের চিঠিকে প্রশ্ন তোলা হয়, ইয়াস নিয়ে কলাইকুণ্ডাতে যে বৈঠক হয়, সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে কেউ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানায়নি। এমনই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসে চলে যান। এই আচরণ প্রোটোকল বিরুদ্ধে বলে দাবি করা হয়েছে এই নোটিশে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই শোকজ নোটিশের পালটা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জবাবি চিঠিতে লিখতে পারেন, দিঘায় বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে একটি বৈঠক আগে থেকেই ছিল। এই বৈঠকের তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তিনি বৈঠকে যান। রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর যে কোনও আদেশ পালন তাঁর কর্তব্য।

অন্যদিকে, আলাপন অধ্যায়ের পরই এ দিন অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের জন্য নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের পক্ষ থেকে। জবাবি চিঠিতে আলাপন ঠিক কী লিখেছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই ই-মেল মারফৎ সেই চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবের পাঠানো সেই চিঠি সবিস্তারে খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে কেন্দ্র।

অন্যদিকে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে বিতর্ক বড় আকার ধারণ করার পরই এ দিন অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের জন্য নতুন শর্ত আরোপ করে কেন্দ্র। অবসর নেওয়ার পর আমলাদের উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, অবসরের পর কোনও আমলা যদি উপদেষ্টা বা পরামর্শদাতা হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজে যোগ দেন, তবে তাঁকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের ছাড়পত্র নিতে হবে।

শুধু তাই নয়। নতুন নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি ওই আমলারা একাধিক সংস্থায় কাজ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে শেষ ১০ বছরে তাঁরা যে যে সংস্থায় কাজ করেছেন সবকটি থেকেই ভিজিল্যান্স ছাড়পত্র নিতে হবে। অন্যথায় এই ধরনের চাকরি করা যাবে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*