সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা আগেই বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। এ রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ঘোর সংশয়। সমাধান খুঁজতে কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের পরই একটি ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছিল রাজ্য। সেই কমিটি শুক্রবার শিক্ষা দফতরে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে পরীক্ষার রোডম্যাপ কেমন হতে পারে তা নিয়ে নিজেদের সুপারিশ রেখেছেন ৬ সদস্যই।
সূত্রের খবর, সম্ভবত আজই সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে যেটুকু খবর উঠে এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে, ৬ সদস্যের কেউই চাইছেন না এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হোক। কার্যত কেউই মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেননি। যদিও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে কী করা উচিত তা নিয়ে কিছুটা হলেও দোটানা রয়েছে কারণ, যে কোনও পড়ুয়ার ভবিষ্যতের জন্যই উচ্চমাধ্যমিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। উচ্চশিক্ষার পথে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া গতি নেই। যে কারণে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনলাইনে করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা রয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।
৬ বিশেষজ্ঞ নিজেদের রিপোর্টে একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পড়ুয়াদের স্বার্থের কারণেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সে ক্ষেত্রে ওপেন বুক পদ্ধতিতে, অর্থাৎ পরীক্ষার্থীর বাড়িতে প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র পৌঁছে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এমন পরামর্শের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদি তেমনটা না করা যায় তবে পুরো পরীক্ষাই অনলাইনে নেওয়া যেতে পারে, এমন সুপারিশও করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বছরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বাদশ শ্রেণীর সকল পড়ুয়াদের ট্যাব দিয়েছিলেন। ফলে সকলের কাছে ট্যাব রয়েছে ধরে নিয়েই এগোনো হচ্ছে।
পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য নেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। মনে করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম এক-দু’দিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষা আদৌ হচ্ছে কি না। হলেও কোন পদ্ধতিতে কোন পরীক্ষা হচ্ছে।
Be the first to comment