বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মরিয়া দলত্যাগীরা। সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাসদের পর এবার এই তালিকায় নয়া সংযোজন মালদা জেলা পরিষদের সদস্য ডলি রানি মণ্ডল। তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্য ডলি।
এই প্রসঙ্গে আবেদনপত্রে ডলি রানি মণ্ডল লিখেছেন, ‘ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। আমার এই সিদ্ধান্ত চরম ভুল ছিল। আমাকে ক্ষমা করে পুনরায় দলে ফিরিয়ে মানুষের কাজ করার সুযোগ দিন’।
উল্লেখ্য, মালদার মানিকচকের ভূতনি এলাকা থেকে জেলা পরিষদের ২৩ নম্বর আসনে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন ডলি রানি মণ্ডল। এরপর গত ৮ মার্চ মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির নেতৃত্বে কলকাতায় BJP-এর সদর দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। এখন দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন। জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং মানিকচকের দলীয় বিধায়ককে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন দাবি জেলা পরিষদ সদস্য। BJP-তে যোগ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন জেলা পরিষদ সদস্য। এর ফলে মালদা জেলা পরিষদে আরও বিপাকে BJP। জেলা পরিষদ সদস্যকে ফিরিয়ে নেওয়া হলে সদস্য সংখ্যা বাড়বে তৃণমূলের।মালদা জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, যাঁরা দলে ফিরে আসতে চান তাঁদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নেতৃত্ব।
দিন কয়েক আগেই BJP থেকে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানান মালদা জেলা পরিষদের সদস্য সরলা মুর্মু। একে একে BJP-তে যোগ দেওয়া সদস্যরা প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করায় মালদা জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে মালদা জেলা BJP নেতা সন্তোষ মণ্ডল জানান, যাঁরা দল ছাড়তে চাইছেন, তাতে BJP-র কোনও ক্ষতি হবে না।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পর কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে দলবদলুদের দলে ফেরার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত!’ তৃণমূলনেত্রীর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
Be the first to comment