মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া পদে অভিষিক্ত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের যুবনেতা থেকে সরাসরি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হলেন অভিষেক অর্থাৎ আজ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবেই তাঁকে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলতে আর কোন বাধা রইল না। অভিষেককে বড় পদ দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল হল তৃণমূলে। পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। আর সেই যুদ্ধকে সামনে রেখেই এগোচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যুব তৃণমূল সভানেত্রী পদে সায়নী ঘোষ, বঙ্গ জননী শাখার প্রধান সাংসদ মালা রায়, শ্রমিক সংগঠনের প্রধান ঋতব্রত, সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নের প্রধান দোলা সেন। পাশাপাশি কালচারাল শাখার পুনর্গঠন করা হয়েছে, তার প্রধান রাজ চক্রবর্তী। রাজ্য কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রাজ্য সম্পাদক হচ্ছেন সায়ন্তিকা, আশীষ চক্রবর্ত্তী, অসীম মাঝি, বেচারাম মান্না।
একনজরে দেখে নিন কে কোন পদে জায়গা পেলেন:
সর্বভারতীয় তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি: সায়নী ঘোষ
শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি: ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভাপতি: কাকলি ঘোষ দস্তিদার
কৃষক সংগঠনের সভাপতি: পূর্ণেন্দু বসু
সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি: দোলা সেন
কালচারাল সেলের প্রধান: রাজ চক্রবর্তী
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক- কুণাল ঘোষ
বঙ্গ জননী শাখার প্রধান: মালা রায়
রাজ্য সম্পাদক: আশীষ চক্রবর্তী, অসীম মাঝি, বেচারাম মান্না, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
সবার নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর এই প্রথম দলের নেতা মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, প্রশান্ত কিশোররাও। সব মিলিয়ে মোট ৯ জেলায় সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। দলের রাজ্যসম্পাদক হলেন কুনাল ঘোষ। সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী করা হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে।
Be the first to comment