নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার জন্য় চার্টার্ড বিমানে উঠেছিলেন তিনিও। তখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে পদ্ম শিবিরে ভিড়ে গিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার তৎকালীন বিধায়ক। প্রবীর ঘোষালের এই আচমকা ভোলবদলকে ঘিরে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একসময়ের দুঁদে সাংবাদিক ছিলেন তিনি। এরপর বিধায়ক হওয়ার দৌড়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে টিকিট দিয়েছিলেন। আর ২১শের নির্বাচনের আগে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেই পদ্মশিবিরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। কিন্তু উত্তরপাড়া বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে তারকা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপরই কার্যত অন্যরকম সুর প্রবীর ঘোষালের গলায়।প্রশ্ন উঠছে প্রত্যাশা মতো তিনিও কি ফের তৃণমূলে ভিড়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছেন?
সম্প্রতি প্রবীর ঘোষালের মা প্রয়াত হয়েছেন। তারপরই একটু যেন ভিন্ন সুর প্রবীর ঘোষালের গলায়। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘আমার মাতৃবিয়োগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থানীয় সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্যায়, বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক যোগাযোগ করেছিলেন। সমবেদনা জানিয়েছিলেন। উত্তরপাড়া বিধানসভা ক্ষেত্রের তৃণমূলের কর্মকর্তারা বাড়িতে এসেছেন, শ্মশানে গিয়েছেন। এমনকী শীর্ষনেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খবর পাওয়ার পর শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। বিজেপির যাঁরা সহানুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা সকলে আমার এলাকারই। তাঁরা বাইরের কেউ নন। অথচ ৩০ বছর আগে যখন বাবাকে হারিয়েছিলাম তখন তপন শিকদাররা আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তৃণমূল আমার তো এখন দল নয়।ওই দলে ছিলাম। কিন্তু তারা যা করল মর্মস্পর্শী।’ মুকুল রায়ের স্ত্রীকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখতে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রবীর ঘোষাল বলেন, ‘অভিষেক যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন, দিলীপ ঘোষ গেলেন। অথচ তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিয়েছেন।’
তৃণমূলের আচরণ মন ছুঁয়ে গিয়েছে, বলছেন বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল। আর এসব নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রশ্ন তো একটাই তবে কি তৃণমূলে ফেরার লাইনে সুযোগ বুঝে দাঁড়িয়ে পড়েছেন প্রবীর ঘোষালও?
Be the first to comment