তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের সাংগঠনিক কাঠামোয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রোমোশন পেয়ে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। তবে এই নীতি কবে থেকে কার্যকর হবে তা জানানো হয়নি তৃণমূলের তরফে।
শনিবারের বৈঠকে মমতা জানান, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এবার থেকে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু থাকবে। কেউ দলীয় পদে থাকলে প্রশাসনিক পদ পাবেন না তিনি। আবার মন্ত্রী হলে মিলবে না দলীয় পদ।’
বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় ফেরার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় পদে না থাকা বহু নেতাকর্মী দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। ওদিকে দেখা যায় বহু নেতা-মন্ত্রী ২টি করে পদ আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। এর ফলে জেলা ও ব্লক স্তরে অনেক সময় ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন নীতি প্রণয়ন হলে সেই ক্ষোভ কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দল ও প্রশাসনকে আলাদা করতে চান নেত্রী। তাই এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর ফলে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করতে পারবে। উঠবে না দুর্নীতির বা স্বজনপোষণের অভিযোগ।
কিন্তু প্রশ্ন হল এই নীতি লাগু হবে কোন স্তর থেকে? সূত্রের খবর, জেলা ও ব্লক স্তরে লাগু হবে এই নীতি। তার ওপরে লাগু হলে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছাড়তে হবে তৃণমূল সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একটি পদ। বলে রাখি, বিজেপিতে বহুদিন ধরেই চালু রয়েছে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি।
Be the first to comment