সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের নেতাদের গতিবিধিতে রাশ টানতে চেয়ে এবার পদক্ষেপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দলের বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন তখন যেমন খুশি লেখা যাবে না। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ সরাসরি মদন মিত্রের দিকে। এমন জল্পনার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। শুক্রবার রাতে মদন মিত্র ফেসবুকে লাইভ করে কামারহাটি পুরসভার দায়িত্ব চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পরে অবশ্য তিনি সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন, কিন্তু প্রকাশ্যে তাই নিয়ে ভালই হইচই হয়। বিষয়টি যে তৃণমূল নেত্রীর নজক এড়ায়নি তা বোঝা গেল এদিনের বৈঠকেই। সামগ্রিকভাবেই নেতা-মন্ত্রীদের ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে এবার সতর্ক হতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অবশ্য মদন মিত্র ভর্ৎসিত হয়েছেন এমনটা মানতে চান না। তাঁর কথায়, তৃণমূল নেত্রী তাঁকে বলেছেন, ফেসবুকটা আরো সাজিয়ে-গুছিয়ে করতে হবে। দেখতে হবে যাতে সকলের সুবিধে হয়। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পরে এই প্রথম মহাবৈঠক বসল তৃণমূলের। এই বৈঠকে তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ বিরাট রদবদল ঘটেছে। অন্তত নটি সাংগঠনিক দায়িত্বে নতুন মুখ এসেছেন। সেই তালিকা থেকে পরিষ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দল এবং প্রশাসনকে আলাদা করতে। এক মন্ত্রী এক পদ চালু করতে। সাংগঠনিক দায়িত্বে তুলে আনা হয়েছে বহু নতুন মুখকে। সায়নী ঘোষ, রাজ চক্রবর্তীরা নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। তেমনই মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষিক্ত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। নেতাদের নতুন ইনিংসের শুরুতেই সতর্ক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের নাম যাতে দুর্নীতিতে না জড়ায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান মমতা। তিনি এ দিন বৈঠকে সরাসরি বলেছেন, কয়লা বালি পাচারে নেতা মন্ত্রীদের নাম জড়ানো চলবে না। তাঁর নিদান, বন্যা আসছে নেতা-মন্ত্রীদের মানুষের পাশে থাকতে হবে। একই সঙ্গে তিনি দলীয় মন্ত্রীদের সতর্ক করে বলেছেন যখন তখন লালবাতিওয়ালা গাড়িতে চড়তে পারবেন না।
Be the first to comment