বেসুরো দলবদলুদের কি তবে ঘরে ফেরাবে তৃণমূল? বৈঠকের পর মুখ খুললেন পার্থ-সুদীপ-সৌগতরা

Spread the love

 বিধানসভা ভোটের আগেই ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একের পর এক নেতা। কখনও সাংসদ, কখনও বিধায়ক, কখনও আবার জেলা সভাপতি। গত বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ দলবদলু নেতাদের কথা শুনে মনে হতে শুরু করছিল, ভোটের পর বুঝি তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই উঠে যাবে। কিন্তু একুশের ভোটের পর যেন শুরু হয়েছে উল্টো স্রোত। পুনরায় দলে ফিরে আসতে চাইছেন দলত্যাগী নেতারা। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে তৃণমূলের মেগা বৈঠকে আজ সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকের পর আপতত দলবদলুদের নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।

তৃণমূলের মেগা বৈঠক শেষে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। দলের তরফে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সেই ঘোষণা আজকের বৈঠক থেকে করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। দলবদলুদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? সেই প্রশ্নও উঠে আসে আজকের সাংবাদিক বৈঠকে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও পরে পার্থবাবু জানান, যারা দলে ফিরে আসতে চান তাদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা হবে।

যদিও যারা দলে ফিরে আসতে চান তাঁদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাঁদের নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তভার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ন্যস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে আজকের বৈঠকে যে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুব তৃণমূল সভাপতি করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। তৃণমূলে সূচনা করা হয়েছে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির। কোনও মন্ত্রী লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। যখন তখন ফেসবুক লাইভের স্বভাবও ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*