কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে লক্ষাধিক টাকার ত্রাণের ত্রিপল লুঠের অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারীর নামে এফআইআর দায়ের হল কাঁথিতে। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে ত্রাণের ত্রিপল লুঠের অভিযোগ উঠেছে কাঁথি পুরসভা প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার দুপুর একটা নাগাদ সেন্ট্রাল ফোর্সের উপস্থিতিতে কাঁথি পুরসভার পুরনো বিল্ডিং ডরমেটরি মাঠ সংলগ্ন পুরসভার গোডাউন থেকে ত্রিপল বার করতে দেখেন পুরসভায় কাজ করতে আসা স্থানীয় এক যুবক। এর পরেই কাঁথি পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মাইতিকে খবর দেন ওই যুবক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য-সহ পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি। শুভেন্দু অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের ঘটনা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর, পুর প্রশাসক মণ্ডলীর দুই সদস্য হাবিবুর রহমান ও রত্নদীপ মান্না এবং কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি ও কাঁথি শহর যুব তৃণমূল নেতৃত্ব সুরজিৎ নায়কের গোডাউনে দায়িত্বে থাকা পুরসভার কর্মচারী হিমাংশু মান্নাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে খবর।
এর পর হিমাংশু মান্নার অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর কিছু ব্যক্তিগত ত্রিপল পুরসভার গোডাউনে জমা ছিল। সেই সমস্ত ত্রিপল নেওয়ার জন্য আজ লোক পাঠিয়েছিল তিনি। কিন্তু ওই ত্রিপলগুলিতে সরকারি লোগো রয়েছে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য পুরসভার কর্মী হিমাংশু মান্না অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর একসময়ের কনফিডেনশিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। কিন্তু পুরসভার চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া এইভাবে ত্রাণের ত্রিপল বের করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান। এরপর শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর নামে কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের করেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রত্নদীপ।
অন্যদিকে এদিনই চাকরি দেওয়ার নাম করে ২ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে রাখাল দাস নামে এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের সেচ মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ওই ব্যক্তি টাকা নেয় বলে অভিযোগ। এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত অধিকারী পরিবারের কারও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Be the first to comment