আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা। সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা, এমনকি টাকা নেওয়ার অভিযোগও ছিল রাখাল বেরার বিরুদ্ধে। ভোটের সময় থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। জেলায় জেলায় ভোটের কাজে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বলেও জানা যায়। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল রাখাল বেরা। এমনটাই অভিযোগ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দিন গ্রেফতার করা হয় রাখালকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মানিকতলা থানায় রাখালের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন উত্তর ২৪ পরগনার সুজিত নামক জনৈক ব্যক্তি। সেই অভিযোগেই উল্লেখ পায়, ২০১৯ সালে রাখাল ও চঞ্চল বেরা-সহ আরও কয়েকজন তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার। প্রথমে অস্থায়ী এবং পরে স্থায়ী পদে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই কয়েক দফায় প্রায় দু’লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও চাকরি পাননি ওই অভিযোগকারী।
এরপর টাকা ফেরৎ চাইলে সেই টাকাও তিনি পাননি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল মানিকতলা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে শনিবার রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এফআইআর-এ নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত চঞ্চল্য বেরার খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ। রাখাল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামিকাল তাঁকে আদালতেও তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাখালকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুধুমাত্র এই রাখাল বেরা বা চঞ্চল বেরা নয়। এই চক্রে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই অভিযোগ যে সময়ের সেই সময় রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাখাল তাঁর ঘনিষ্ঠ বলেই খবর। সূত্রের খবর, শুভেন্দুর বিভিন্ন কাজকর্ম দেখতেন রাখাল। একইসঙ্গে, শুভেন্দুর ব্যবসাও দেখতেন। নানাভাবে তিনি ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন শুভেন্দুর সঙ্গে। ফলে এই গ্রেফতারি রাজনৈতিকভাবেও যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Be the first to comment