৬ জন নিকট আত্মীয় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে বসিয়েছেন রাজ্যপাল। গতকাল অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। স্বজনপোষণের অভিযোগ নিয়ে মহুয়া মৈত্রর ট্যুইটের জবাব দিলেন রাজ্যপাল। ট্যুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, “ওএসডি পদে ৬ আত্মীয়কে নিয়োগের প্রচার তথ্যগতভাবে ভুল। ৩টি রাজ্য থেকে চার ভিন্ন জাতের ব্যক্তিকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁরা কেউই আমার নিকট আত্মীয় নন। তাঁরা আমার রাজ্যেরও নন। নজর ঘোরাতে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
টুইটে মহুয়া অভিযোগ করেন, রাজভবনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়-পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। শুধু অভিযোগ তুলেই থামেননি তিনি। স্বজনপোষণের অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে রাজভবনের একাধিক কর্মীর নাম, পদমর্যাদা এবং রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন মহুয়া।
মহুয়ার টুইটের তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যপাল ধনখড়ের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে যিনি রয়েছেন তিনি রাজ্যপালের জামাইবাবুর পুত্র। আবার ওএসডি কো-অর্ডিনেশন অখিল চৌধুরী রাজ্যপালের পরিবার ঘনিষ্ঠ বলে দাবি তাঁর। ওএসডি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পদের দায়িত্বে থাকা রুচি দুবে রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি মেজর গৌরাঙ্গ দীক্ষিতের স্ত্রী। তার পর ওএসডি প্রোটোকলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত দীক্ষিত মেজর গৌরাঙ্গ দীক্ষিতের ভাই।
এছাড়া OSD IT-র দায়িত্বে থাকা কৌস্তভ এস ভালিকার রাজ্যপালের বর্তমান ADC-র জামাইবাবু। রাজভবনে সদ্য নিযুক্ত হওয়া OSD কিষাণ ধনখড় রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এই তালিকা পেশ করে মহুয়া দাবি করেছেন, নিকট আত্মীয়দেরই রাজভবনে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন রাজ্যপাল নিজেই।
এরপরই আজ, সোমবার ফের পাল্টা ট্যুইট করেছেন মহুয়া মৈত্র। রাজ্যপালকে আঙ্কলজি সম্বোধন করে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, এঁদের পূর্বসূরী কারা এবং কীভাবে এঁরা রাজভবনে ঢুকলেন, তা এখনই জানান। বিজেপির আইটি সেলও আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। আমার মনে হয় না, উপ রাষ্ট্রপতি আপনার জন্য কিছু করবেন।
Be the first to comment