শীতলকুচিতে পৌঁছল ফরেন্সিকের ব্যালিস্টিক টিম। এখানে পৌঁছেই গুলি চালনা–কাণ্ডে সোমবার সিআইডি’র ফরেন্সিকের বিভাগের ব্যালিস্টিক টিম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। একটাই প্রশ্ন তাঁদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বুথের বাইরে যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে বুথের ভেতরের ব্ল্যাকবোর্ডে গুলির ক্ষত কেন? তদন্তকারীদের অনুমান, সেদিন বুথ লক্ষ্য করেই গুলি চলেছিল। যার জেরে ব্ল্যাকবোর্ডে লেগেছিল সেই গুলি।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? ১২৬ নম্বর বুথ সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন তাঁরা। বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে কি কি নমুনা তাঁরা হাতে পেয়েছেন তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। শীতলকুচি কাণ্ডে এখনও বহু প্রশ্নের উত্তর নেই। এবার এই যাবতীয় রহস্যের সমাধান করতে মরিয়া তদন্তকারীরা। এদিন তিন সদস্যের একটি তদন্তকারী দল শীতলকুচির ওই ১২৬ নম্বর বুথে গিয়েছেন। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা ভবানী ভবনে পৌঁছবেন।
উল্লেখ্য, ভোট–চতুর্থীর দিন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় জখম হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে য়ায় রাজ্য–রাজনীতি। ঘটনার দিনই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, পরেরদিন শীতলকুচিতে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বলা হয়, ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবেন না। এরপরই মমতা জানিয়েছিলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠলেই তিনি শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। ভিডিও কলের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে দফায় দফায় কোচবিহারের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে শীতলকুচির প্রশাসনিক আধিকারিক–সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযুক্ত জওয়ানদেরও কলকাতায় সিআইডি’র সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। এবার তাঁদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের কতটা মিল রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। নিহতদের সুবিচার দিতে সিআইডিকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন গুলিকাণ্ডে এক নিহতের আত্মীয় আলিজার হোসেন।
Be the first to comment