এবার গঙ্গা এবং খাল সংস্কারে বিশেষ উদ্যোগী রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে তা সংস্কারের ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। গঙ্গাকে কীভাবে পরিষ্কার রাখা যায়, সে বিষয়ে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি পরিকল্পনা তৈরি করবেন বলেই জানিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সৎ’ ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে তড়িঘড়ি কাজ শুরুর নির্দেশও দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভাঁটার সময় আদিগঙ্গায় বইতে থাকে কালো জল। ওই অবস্থা দেখে রীতিমতো বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া মরা পশু, নানা ধরনের আবর্জনা ভেসে আসা তো নিত্যদিনের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তার ফলে বছরের পর বছর খাল সংস্কারের কাজ করা হলেও জল জমে বিপাকে পড়তে হয় একাধিক এলাকার মানুষজনকে। সামান্য বৃষ্টিতেও বিপাকে পড়েন তাঁরা। বর্ষার সময় সে সমস্যা যে আরও কয়েকগুণ বাড়ে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে খাল এবং গঙ্গা সংস্কারের উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
ফিরহাদ হাকিমের কাছ থেকে খাল এবং গঙ্গা সংস্কার সংক্রান্ত তথ্য চান মুখ্যমন্ত্রী। গত ৩৪ বছরে পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি বলেই দাবি করেন ফিরহাদ হাকিম। পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অবশ্যই সৎ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত কাজ শুরুর কথা বলেন তিনি।
নবান্ন সভাঘরের এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। অল্প বৃষ্টিতেই হাওড়ার যেসব এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে, সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ব্যারাকপুরের পরিস্থিতিও তথৈবচ বলেই জানান মন্ত্রী। সেকথা শোনার পরই ব্যারাকপুর ও হাওড়ার জন্য পৃথক দু’টি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সংস্কারের আর্থিক জোগান কীভাবে হবে, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করার কথা বলেন তিনি। অনেক সময় বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই সমস্ত উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় তাই অর্থের জোগানের ক্ষেত্রে তাদের কাছে আর্জি জানানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment