পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি সহ ১০টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ বিজেপিকে ছাড়তে রাজি সরকার। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নয় গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, বিজেপিকে অন্তত ১৪টি কমিটি ছাড়তে হবে। সব মিলিয়ে এখন শাসক শিবিরের সঙ্গে বিরোধী শিবিরের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে।পাশাপাশি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়েও গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। বিজেপি চাইছে, শুভেন্দু অধিকারী নন, অন্য কাউকে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু কে হবেন সেই পদের অধিকারী, সেটাই এখনও ঠিক করতে পারছে না গেরুয়া শিবির।
বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি ছিল।এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রশ্ন তুলছে, বিজেপি ৭৫টি আসন পাওয়া সত্বেও কমিটির সংখ্যা কেন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অতীতের উদাহারণ তুলে বিজেপি চাইছে, তাদের হাতে ১৪ থেকে ১৫টি কমিটি দেওয়া হোক। যদিও এই প্রসঙ্গে অবশ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বাম আমলে বিরোধী পক্ষে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে কমিটি ভাগ করতে হত। এরপর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে কমিটি ভাগ করতে হত। তাই সব মিলিয়ে সংখ্যাটা বেশি হত তাদের।
তবে বিজেপি যতই কমিটির সংখ্যা বেশি দেওয়ার দাবি তুলুক না কেন, এখনও পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান কে হবেন, তা ঠিক করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি চাইছে, শুভেন্দু ছাড়া অন্য কাউকে এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দিতে।সেক্ষেত্রে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ির নাম উঠে এসেছে।কিন্তু তিনি এই পদ নিতে তেমন আগ্রহী নন।আলোচনায় উঠে এসেছে মুকুল রায়ের নামও। যদিও তিনিও এই পদ নিতে আগ্রহ দেখাননি।
ফলে এখন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কে নেবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর আগে বিধানসভার অধ্যক্ষ তাঁর ক্ষমতাবলে মানস ভুইঞাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করেন। তা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মানসবাবুর প্রবল বিরোধ শুরু হয়। পরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
Be the first to comment