মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের আদলেই রাজধানী দিল্লির জনতার ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দিতে মরিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আরও একবার এই প্রকল্প চালু করার আর্জি জানালেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে মঙ্গলবার চিঠিতে কেজরিওয়াল লিখেছেন কেন্দ্র যদি চায়, তাহলে রেশন পৌঁছে দেওয়ার নিয়ম বদলাতেও দিল্লি সরকার তৈরি।
করোনাকালে পশ্চিমবঙ্গে বাড়ি-বাড়ি রেশন পৌঁছে দিয়ে একটি উদাহরণ তৈরি করেছে রাজ্য় সরকার। আর এই পদ্ধতিতে রেশন দেওয়া নিয়েই কেন্দ্রের সঙ্গে কেজরিওয়ালের সরকারের দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। দিল্লি সকারের অভিযোগ, কেন্দ্রেক অনুমতি নিয়েই রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছিলেন তারা। চিঠিও পাঠানো হয়েছিল এই মর্মে। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার ঠিক দু’দিন আগে কেন্দ্র এই প্রকল্পকে বাতিল করে দেয়। ক্ষুব্ধ কেজরিওয়াল তখন বলেন, আইনিভাবে অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। নিছক সৌজন্যে দেখিয়ে তারা মোদী সরকারের অনুমতি নিয়েছিলেন। রেশন পৌঁছে দিতে মরিয়া কেজরির যুক্তি ছিল, ঘরে ঘরে যদি পিজা, বার্গার, জামাকাপড় পৌঁছে দেওয়া যায় তাহলে রেশন কেন পৌঁছে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রথম বার কোনও সরকার রেশন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি চালু হবার আগেই বাতিল করে দিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা আগের চিঠিতে ৬ জুন কেজরিওয়াল বলেন, “আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছিল দিল্লির গরিব মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেতেন সামনের সপ্তাহ থেকে। কিন্তু সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিল কেন্দ্র। কেজরির যুক্তি, ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে না দিলে রেশন সবগুলি করোনার সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠতে পারে।
কেন্দ্রের পাল্টা যুক্তি, দিল্লি সরকারের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়নি বরং জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী সরবরাহের পদ্ধতি বদলাতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি বলা হয়েছে এই আইনে সরকারের অনুমতি নিতে। এখন কেজরি সুর নরম করে বলছেন, কেন্দ্রের কথা মত সমস্ত ব্যবস্থা নিতেই তিনি তৈরি কেন্দ্র দুয়ারের রেশন প্রকল্প চালু করার অনুমতি থাকে।
Be the first to comment