বাংলার বিধানসভা ভোটে চূড়ান্তভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। আর তৃণমূল প্রবলভাবে ফের ক্ষমতায় এসেছে। আর তারপর থেকেই সেভাবে প্রকাশ্যে আসেননি মিঠুন চক্রবর্তী। এ বারের ভোটে বিজেপির হয়ে জোরকদমে প্রচার করেছিলেন অভিনেতা মিঠুন। দাবি করেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৬ মাসেই বদলে যাবে বাংলা। কিন্তু বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ডাক দিতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ‘মহাগুরু’র মুখে এমন মন্তব্য শোনা গিয়েছে, যা অত্যন্ত উস্কানিমূলক বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলাও। তা খারিজ করতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন কোনও কাজে এল না।
এদিন ওই মামলায় পুলিশি তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে, ‘মহাগুরু’র জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর, তাঁর সশরীরে হাজির হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক মিঠুনকে।
যদিও হাইকোর্টের কাছে মিঠুনের আর্জি ছিল, ভোটের প্রচারের সময় তিনি যা বলেছিলেন, সেগুলি সিনেমার সংলাপ মাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি তাঁর সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নন।
প্রসঙ্গত, উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে মিঠুনের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় FIR দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে সম্প্রতি পুলিশের থেকে রিপোর্টও তলব করেছিল শিয়ালদা এসিজেএম আদালত। অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুনের বিরুদ্ধে ওই এফআইআর-এর ভিত্তিতে কতদূর তদন্ত এগিয়েছে, তা নিয়ে পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিঠুন। কিন্তু তাঁকে সশরীরে হাজির দিতে না হলেও মামলা থেকে রেহাই পেলেন না অভিনেতা।
Be the first to comment