দলবদলের ‘খেলায়’ বরাররই সিদ্ধহস্ত তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় পর্বের শুরু থেকেই সেই ‘খেলায়’ নেমে পড়লেন মুকুল রায়। বিজেপির একাংশের দাবি, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গেরুয়া শিবিরের ১০ জন বিধায়ক এবং একজন সাংসদকে নাকি ফোন করে ফেলেছেন তিনি। যদিও সরাসরি সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই।
এমনিতে বিধানসভা ভোটের গোড়া থেকেই আড়ালে চলে ছিলেন মুকুল। সেভাবে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির টিকিটে জেতেন। সেই জয়ের পর মাসদেড়েক কাটতে না কাটতেই শুক্রবার বিকেল নাগাদ তৃণমূলে ফিরে আসেন মুকুল। সেইসময় মুকুলকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুকুল মানসিক শান্তি পেলেন। ‘বিজেপি থেকে আরও লোক আসবে’।
তারপরই মুকুলের ‘খেলা’ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি একাংশের। বিজেপির একটি অংশের দাবি, শুক্রবার রাতেই ১০ জন বিধায়কের কাছে গিয়েছে মুকুলের ফোন। সেই তালিকায় উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গেরও বিধায়করা আছেন। উত্তরবঙ্গের এক সাংসদও মুকুলের ফোন পেয়েছিলেন বিজেপির ওই অংশের তরফে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে মুকুলের ফোনের বিষয়টি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে কয়েকজন বিধায়ক জানিয়েছেন। কয়েকজন নাকি সেই পথ মাড়াননি।
তারইমধ্যে আবার বেসুরো হয়েছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। যিনি শুক্রবার বনগাঁয় বিজেপির সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে যোগ দেননি। বিশ্বজিতের দাবি, ব্যক্তিগত কাজে তিনি অন্যত্র ছিলেন। পাশাপাশি যে ব্যক্তির বাড়িতে বৈঠক হয়েছে, তিনি অবৈধ কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। সেই বৈঠকে ছিলেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে মুকুলের ফোন বিশ্বজিতের কাছে গিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে বিজেপির ওই অংশের কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
যদিও দিলীপ দাবি করেন, মুকুল বিজেপি আসায় বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। তাই তৃণমূল ফিরে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না। দিলীপ বলেন, ‘মুকুল রায়ের মতো লোকেরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না। বিজেপিতে থাকতে গেলে ত্যাগ-তপস্যা করতে হয়। যাঁরা কেবল ক্ষমতার স্বাদ নিতে চান, তাঁদের জায়গা বিজেপিতে নেই। ক্ষমতায় এসে যাঁরা ধান্দা করতে চান, তাঁরা বিজেপিতে টিকতে পারবেন না। আমরা তাঁদের বিজেপিতে থাকতেও দেব না। মুকুল রায়কে আমরা বড় নেতা মনে করতাম। এখনও তাই করি।’
Be the first to comment