নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে এবার নয়া তথ্য পেল রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা । ধৃত ভরত ও সুমিত কুমারকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে সুমিত কুমার ও ভরত মূলত পঞ্জাবের এই গ্যাংস্টারদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে সাহায্য করত। পাশাপাশি এদেশের একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারীদের সঙ্গে জয়পালদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা ছিল ।
জানা গিয়েছে, মৃত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীতদের সঙ্গে পাক গুপ্তচরের যোগ থাকলেও থাকতে পারে । সাপুরজি আবাসনের ওই ফ্ল্যাট থেকে একাধিক ইলক্ট্রনিক্স ডিভাইস ও নথিপত্র ঘেঁটে গোয়েন্দারা প্রাথমিক ভাবে এই অনুমান করছেন । পাশাপাশি তাঁরা মনে করছেন এই গ্যাংস্টারদের দল সরাসরি পাকিস্তানি মাদক সরবরাহকারী এবং আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।
ইতিমধ্যেই ভরত ও সুমিত কুমারকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ । সূত্রের খবর, তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে একাধিক নতুন তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের । যেমন মৃত জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীতের ঘর থেকে যে সকল আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি এদেশের নয় বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা ।
ফলে এখন প্রশ্ন উঠেছে কে বা কারা তাদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত ? তদন্তকারীদের অনুমান, এক্ষেত্রে পাকিস্তানের একাধিক গুপ্তচর সংস্থা ভুল্লারদের সাহায্য করলেও করতে পারে। জানা গিয়েছে, তারা আগ্নেয়াস্ত্র নেপাল,ভুটান, বাংলাদেশে পাচার করত। পাশাপাশি দেশের একাধিক জায়গায়তেও আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করত তারা । এখন দেখার যে, বাংলায় কতটা থাবা বসিয়েছে এই গ্যাংস্টারদের দল।
Be the first to comment