মুকুল রায় দল ছাড়ার পর বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৷ ইতিমধ্যে একাধিক বিজেপি নেতা-বিধায়ক বেসুরো হয়েছেন। এবার দল ছাড়তে চলেছেন উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটার বিজেপি নেতা ধনেশ নারায়ণ গুহ। তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে ইতিমধ্যে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। মুকুলের থেকে সবুজসংকেত পেয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
বিধানসভা ভোটে গাইঘাটা কেন্দ্রে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ধর্মপ্রচারক নরোত্তম বিশ্বাসকে প্রার্থী করে তৃণমূল । প্রার্থীর ঘোষণার পরে দলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল ছাড়েন গাইঘাটার পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ধনেশনারায়ণ গুহ । পরবর্তীতে তিনি মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন । মুকুল রায় তৃণমূল ফেরার পর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে সোমবার মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তিনি । নেতার থেকে সবুজসংকেত পেয়েছেন বলেও সূত্রের খবর ।
এই বিষয়ে ধনেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপিতে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া বা কর্মীদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই । তৃণমূলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় ৷ একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে প্রার্থী করায় আমি ক্ষোভে দল ছেড়েছিলাম । কিন্তু বিজেপিতে গেলেও দলের (তৃণমূল) বিরুদ্ধে কোনও প্রচারে যাইনি । আমি মুকুলদার হাত ধরে যেমন বিজেপিতে গিয়েছিলাম, তেমনি মুকুলদার হাত ধরে তৃণমূলে ফিরতে চাই । তাই মুকুলদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম ।”
এই বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, “উনি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির পতাকা ধরেছিলেন । দলের কোনও পদে ছিলেন না । ভোট পূর্ববর্তী দলের কোনও কার্যকলাপে তাঁকে আমি দেখতে পাইনি । ওঁর যোগদানে স্থানীয় নেতৃত্ব অখুশি ছিল । ওঁর ইচ্ছা হয়েছিল এসেছিলেন, আবার ইচ্ছা হয়েছে চলে যাওয়ার চলে যাবেন । এতে দলের কিছু আসে যায় না ।”
Be the first to comment