রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি গোলপার্কের ফ্ল্যাটে থাকেন। সেখানে সময় কাটান বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। পরিস্থিতি এখন পাল্টেছে। রত্না দেবী এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েছেন। এই ফ্ল্যাট থেকেই কয়েকদিন আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। তখন এই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বেআইনিভাবে গোলপার্কের ফ্ল্যাটের দখল নিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ তুলে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠালেন শোভনের শ্যালক শুভাশিস দাস।
সূত্রের খবর, হঠাৎই এই ফ্ল্যাট দ্রুত খালি করে দেওয়ার নোটিশ পাঠান তাঁর শ্যালক। আর তাতেই ফের চর্চায় উটে এলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, ফ্ল্যাটটি বেআইনিভাবে দখল করে বসবাস করছেন শোভনবাবু। এমনকী একসপ্তাহের মধ্যে ফ্ল্যাট খালি করতে বলা হয়েছে আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো নোটিশে। শ্যালকের পাঠানো নোটিশে দাবি, টেনেন্সি অ্যাক্ট অনুযায়ী কোনও চুক্তি না থাকায় সেটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ফ্ল্যাট অবিলম্বে খালি না করলে মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে নোটিশে। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।
এই মাথার ছাদ কেড়ে নেওয়ার নোটিশ তিনি পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। আর শ্যালকের হুমকি দেওয়া নোটিশের প্রেক্ষিতে তিনি পালটা জানান, গোলপার্কের ফ্ল্যাটে তিনি বেআইনিভাবে থাকেন না। সেখানে থাকার জন্য সমস্ত আইনি নথি তাঁর কাছে রয়েছে। তবে এই নোটিশের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবেন, তা এখনও কিছু জানাননি। যদিও আইনি লড়াইতে যাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ফ্ল্যাটটি আসলে কার তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, সদ্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক প্রোফাইলের নাম–ছবি বদলে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বৈশাখীর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ‘শাশ্বত বন্ধু’ শোভনের নাম। ভার্চুয়াল দেওয়ালে চকচক করছে ‘বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়’। প্রোফাইল ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসি হাসি মুখে একে অপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন শোভন –বৈশাখী। আর ক্যাপশনে লেখা ‘দ্য জার্নি ফ্রম মি টু উই বিগিনস’। অর্থাৎ ‘শুধু আমি থেকে আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু’। তারপরেই এই ধাক্কা পথে দেরী হবে না তো? উঠছে প্রশ্ন।
Be the first to comment