রাতভর টানা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। সঙ্গে সকাল সাতটা পর্যন্ত গঙ্গায় জোয়ার ছিল। দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, এজেসি স্ট্রিট, থিয়েটার রোড-সহ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে গিয়েছে। জল থইথই করছে বেহালা, সার্দান অ্যাভিনিউয়ের মতো জায়গায়। কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, জল নামতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
বুধবার রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত ১০ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে ১৪৮ মিলিমিটার হয়েছে। মোমিনপুরে বৃষ্টি হয়েছে ১৭৯ মিলিমিটার। বেহালায় ১৬৩ মিলিমিটার, কালীঘাটে ১৬৮ মিলিমিটার মতো বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে সকাল সাতটা পর্যন্ত জোয়ার থাকায় মহানগরীর লকগেট বন্ধ ছিল। তার জেরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। জল থইথই করছে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অংশে। সকালে রাস্তায় বেরিয়ে জলযন্ত্রণার মুখে পড়তে হয়েছে শহরবাসীকে। এজেসি বসু রোডে জল জমে গিয়ে গাড়িও খারাপ হয়ে গিয়েছে। জলবন্দি বেহালাও। অনেকের বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, জল নামতে কিছুটা সময় লাগবে। সকাল সাতটার পর লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার পাম্পিং স্টেশন দিয়ে জল নামানোর কাজ চলছে। দুপুর একটা পর্যন্ত লকগেট খোলা থাকবে। ফলে বেশিক্ষণ জলযন্ত্রণা ভুগতে হবে না। দুপুর একটার পর অবশ্য ভারী বৃষ্টি হলে সেই জল দাঁড়িয়ে যাবে। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং আশ্বাস দিয়েছেন, অন্য শহরের মতো সারাক্ষণ কলকাতায় জল জমে থাকবে না। জল নেমে যাবে।
তবে দুপুরের পরও বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টায় দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, নদিয়া, পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেই সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তার ফলে আবারও কলকাতায় জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Be the first to comment