ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ঘরছাড়া হওয়া ব্যক্তিদের যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি। এদিন এক মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি এদিন আদালতের তরফে পর্যবেক্ষণ পেশ করে বলা হয়, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা মানতে চায়নি সরকার। সেই প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে মামলার শুনানি হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সামনে। সেই বেঞ্চ এদিন বলে, ‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বাসিন্দাদের মধ্যে বিশ্বাস জাগাতে দায়বদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই কোনও হিংসা হয়নি বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু এই সংক্রান্ত যাবতীয় সত্যি আমাদের সামনে রয়েছে। এদিকে রাজ্যের সংস্থার রিপোর্ট অন্য কথা বলছে।’ সুপ্রিম কোর্টেও এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।
এর আগে ৩১ মে ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে কলকাতা হাইকোর্ট।তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। যে সমস্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরে ফিরতে পারছেন না তাঁদের অবিলম্বে রাজ্য আইনি পরিষেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের লিগ্যাল এইড সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটি পরে এদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় পুলিশ অফিসারের দিয়ে ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করবে।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয় খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রথমে একটি মামলা করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। পাশাপাশি বিজেপি নেত্রী তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার গুরুত্ব বিচার করে কলকাতা হাইকোর্টে তৈরি হয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সেই বেঞ্চেই হচ্ছে এই মামলার শুনানি।
Be the first to comment