অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ ? কতটা সুরক্ষিত শিশুরা…

Spread the love

চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ ৷ যদিও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে এর প্রভাব কিছুটা কম হবে ৷ একটি সংবাদ সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে ৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, ভাইরোলজিস্ট, মহামারি নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানী, অধ্যাপকদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় এটা স্পষ্ট যে ভারতে চলতি বছরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে ৷

তবে ঠিক কোন সময়ে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে ৷ ৮৫ শতাংশের মতে, অক্টোবরেই ভারতে আসতে চলেছে তৃতীয় ঢেউ ৷ বাকি কিছুজনের মতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা অগাস্ট কিংবা সেপ্টেম্বরে ৷ চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ থেকে পরের বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়টিকেও বেছে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন ৷

সময় নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও একটি বিষয় নিয়ে দ্বিমত নেই যে, বর্তমান দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় আগত ঢেউয়ের প্রকোপ কিছুটা হলেও কম হবে ৷ তাঁর অন্যতম বড় কারণ অবশ্যই টিকাকরণ ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বিশ্ব যেভাবে টিকাকরণে সাড়া দিচ্ছে, তার ফলেই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমানো সম্ভব হচ্ছে ৷ প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেক বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছেন ৷ বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও ৷ এই অবস্থায় টিকা, ওষুধ, অক্সিজেন এবং পর্যাপ্ত হাসপাতাল শয্যার অভাবকেই দায়ী করছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলে ৷ তবে তৃতীয় ঢেউয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে, বলে মত তাঁদের ৷

এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার কথায়, টিকার সংখ্যা বাড়ছে ৷ এছাড়াও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে কিছু ইমিউনিটি তৈরির ফলেই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কিছুটা কম হবে ৷ অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছর টিকাকরণের মাত্রা বাড়েছে, এবং তা বাড়তে চলেছে ৷ তবে টিকাকরণের পরই অনেক রাজ্যে কোভিডের একাধিক শিথিলতার বিপক্ষেই সওয়াল করেছেন তাঁরা।

বিশেষজ্ঞদের দুই তৃতীয়াংশের মতে, ১৮ বছরের নিচের কিশোর-কিশোরী এবং শিশুরা এই তৃতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷ বর্তমানে শিশুদের এবং কিশোর কিশোরীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না, সেই কারণেই তৃতীয় ঢেউয়ে তাদের সংক্রমিত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকছে ৷ চিকিৎসক মহল এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বেড বা শিশুদের জন্য আইসিইউয়ের সংখ্যা খুবই কম ৷ দেশে যদি একটা বড় অংশের শিশুরা আক্রান্ত হতে থাকে, তাহলে সমস্যা বাড়বে ৷ এবং পরিস্থিতি দুঃসহ হবে ৷

চিকিৎসক দেবী শেঠির মতে, বড় অংশের শিশুরা যদি আক্রান্ত হয়, তবে শেষ মূহুর্তে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে ৷ ৪১ জনের মধ্যে ৩০ বিশেষজ্ঞের মতে, করোনা এক বছরের জন্য ভারতে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হবে ৷ ১১ জনের মতে, এক বছরের মধ্যে এই উদ্বেগ কেটে যাবে ৷ কিছুজনের মতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কাটতে দুবছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে ৷ গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্কের ডিরেক্টর রবার্ট গালোর মতে, ভারত দুইবছরের মধ্যে টিকাকরণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*