বিধানসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য নেতৃত্ব। মুকুল রায়ের দল ছাড়ার পর এই প্রথমবার বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কার্যকরণীর বৈঠক। সূত্রের খবর, সেখানে কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের। বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার। তবে দলে কোনও অন্তর্কলহের অভিযোগ অস্বীতকার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছিলেন দলের রাজ্য নেতারা। আগামী ২৯ জুন বসতে চলেছে সেই কার্যকরণী বৈঠক। সেখানে ভার্চুয়ালি হাজির থাকবেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। হাজির থাকার কথা নির্বাচনে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদের। ভোটে পরাজয়ের পর রাজ্যে দেখা মিলছে না বিজেপি নেতাদের। বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কজন হাজির থাকেন সেও এক প্রশ্ন।
বিজেপি সূত্রের খবর, বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের নেতাদের গুরুত্ব না দেওয়ার প্রসঙ্গটি উঠবে। কেন্দ্রীয় নেতারা যে ভাবে লাগাতার রাজ্যের ছোটখাটো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন তাতে মানুষের সমর্থন মেলেনি বলে দাবি করবেন রাজ্যের নেতারা। সঙ্গে প্রার্থী নির্বাচনে যে ভাবে জেলার নেতাদের উপেক্ষা করা হয়েছে কথা হবে তা নিয়েও। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বিজেপির সেই বৈঠক।
বৈঠকে বিজেপির রাজ্যনেতারা ছাড়াও যোগদান করবেন জেলার নেতারা। জেলায় জেলায় দলীয় কর্মীদের ওপর শাসকদলের হামলা রুখতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন তাঁরা।
যদিও এসব মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, আমাদের দলে কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। আমরা একজোট হয়ে লড়েছি। ৩ থেকে বেড়ে ৭৫ জন বিধায়ক পেয়েছে দল। রাজ্যের একমাত্র বিরোধী দল হয়ে উঠেছে বিজেপি। তবে ফল কেন আরও ভাল হল না তার বিশ্লেষণ হবে। সঙ্গে দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আলোচনা হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে।
Be the first to comment