বাংলায় ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখে শেষে পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি, আর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যা তরান্বিত হয়েছে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে। যদিও দলে ভাঙন আটকাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাতেও আটকানো যাচ্ছে না। এরই মধ্যে এবার বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা করলেন আলিপুরদুয়ার বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
সোমবার দুপুরে কলকাতার তৃণমূল ভবনে এসে তিনি যোগদান করবেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে জেলা বিজেপির আরও ৬ প্রভাবশালী নেতাও তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। জেলার রাজনৈতিক মহলের মতে, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বিজেপি ত্যাগ গোটা জেলায় গেরুয়া শিবিরকে বিপুল ক্ষতির মুখে ফেলবে।
আর গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার কথায়, ‘আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাই বিজেপি ছাড়তে চাই। আগামীকালই তৃণমূলে যোগ দেব। আরও অনেকেই দেবে।’ প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে প্রথমে অশোক লাহিড়িকে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই প্রার্থী মেনে নিতে চাননি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ। ‘প্রার্থীকে চিনি না’ বলে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধমকে পরে সুর নরম করলেও শেষমেশ অশোক লাহিড়িকে ওই কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিতে হয় বিজেপিকে। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতেই এবার পাল্টি খেলেন দলেরই জেলা সভাপতি।
অপরদিকে, শনিবারই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বিজেপি নেতা তপন সিনহা। শনিবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা টাউনহলে তৃণমূলের এক সভায় যোগদান করেন তিনি। বিজেপিতে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তপনবাবু। মুকুল রায় যেদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন, সেদিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তপন সিনহা। একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপিতে কাজ করতে পারছেন না। শেষমেশ শনিবার তৃণমূলে যোগদান।
বরাবরই মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তপন বাবু। মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের দিনই নিজেকে অসুস্থ দাবি করে বিজেপির সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে বলেছিলেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে দলের হয়ে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। এরপরই বিজেপি বনগাঁ জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবকে চিঠি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানান। তখন থেকেই কানাঘুষো চলছিল, অবশেষে তৃণমূলেই যোগ দিলেন তপন সিনহা।
Be the first to comment