বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ, চললো বিক্ষোভ

নামানো হলো নিরাপত্তারক্ষী

Spread the love

রবিবারই তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ওঁর দলের সদস্যরাই ওঁকে নেতা হিসাবে মানেন না। এবার সেই কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠল বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ওই বৈঠকে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়ায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে দিলীপের নিরাপত্তারক্ষী ও সহায়করা বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের ধাক্কা দিয়ে সভাকক্ষ থেকে বের করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় একটি হোটেলের সভাকক্ষে।

তৃণমূল কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা তথা মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, উনি যেখানেই যান সেখানেই গণ্ডগোল বাঁধে। ঠিক তারপরেই দেখা যায়, বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী–সহ দলের জেলা কমিটির সদস্যদের বৈঠকে ডাকা হয়নি। বিশ্বজিৎকে বেআইনিভাবে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিশ্বজিতের অনুগামীরা দিলীপ ঘোষের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘বিশ্বজিৎবাবুকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল কি না খতিয়ে দেখা হবে।’ আর এটা একুশের নির্বাচনের পর দলের অন্দরে সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল তৎকালীন বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় ওই পদে আসেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব সরকার। নির্বাচন পরবর্তী দলীয় কর্মসূচি ঠিক করতে হোটেলের সভাকক্ষে দলের জেলা ও ব্লকস্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই বিক্ষোভ দেখানো হয়।

জানা গিয়েছে, বৈঠক চলাকালীন দলের কয়েকজন জেলার নেতাকে নিয়ে আচমকা সভাকক্ষে ঢুকে পড়েন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য বলরাম চক্রবর্তী। কেন তাঁদের বৈঠকে ডাকা হয়নি তা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। আর বাসুদেব সরকারকে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে সেখানে কেন রাজ্য সভাপতির সই নেই?‌ সুতরাং আইন অমান্য করে বিশ্বজিৎবাবুকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে তাঁরা সোচ্চার হন। ফলে আবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*