বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। আলিপুরদুয়ারে নির্বাচনে ভালো ফলের পরও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। আলিপুরদুয়ার বিজেপি সভাপতির তৃণমূলে যোগদান ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুকুল রায়, সুখেন্দুশেখর রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন গঙ্গাপ্রসাদ।
গঙ্গাপ্রসাদের পাশাপাশি আরও আট জন বিজেপি নেতা সোমবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। উল্লেখ্য, গঙ্গাপ্রসাদের তৃণমূলে যোগদান ঘিরে কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। ‘বিজেপিতে গুরুত্বহীন জেলা নেতৃত্ব’, তৃণমূলে যোগদানের পর অভিযোগ করলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
এদিন গঙ্গাপ্রসাদের তৃণমূলে যোগদানের পর মুকুল রায় বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনেও প্রথম যে আসন পেয়েছিল,সেটা উত্তরবঙ্গ থেকে পেয়েছিল। এটা শেষের শুরু হল। এটা একটা পূর্বাভাস’। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই গঙ্গাপ্রসাদের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা চলে রাজ্য রাজনীতিতে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও চর্চা চলে। এই জল্পনার পর থেকে গঙ্গাপ্রসাদের মোবাইল নম্বর সুইচড অফ ছিল।
দলবদল করে গঙ্গাপ্রসাদ নিশানা করেছেন বিজেপি নেতৃত্বকেই। তিনি বলেন, ‘জেলার নেতাদেরকে কখনই গুরুত্ব দেয় না বিজেপি। নির্বাচনের আগে কাজ করলাম আমরা, আর আমারাই কোনও গুরুত্ব পেলাম না। নির্বাচনের আগেই দলবদল করতে পারতাম। কিন্তু তা করলে আমাকে গদ্দার বলা হত। আমি দলকে পাঁচটা আসন দিয়েছি। তারপর ফিরেছি। কিন্তু বিজেপি জেলার নেতাদের গুরুত্বই দেয় না। তাই দল ছেড়ে দিলাম।’
আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটর পাশাং লামা জানিয়েছিলেন, গদ্দার ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসে সবাইকে নেওয়া হবে। বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমুল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন থেকেই দলবিরোধী বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন গঙ্গাপ্রসাদ। এর জেরে রাজ্য নেতৃত্বকে শোকজের জবাব দিতে হয়েছে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। এমনকী, জেলার সাংসদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের তাল কাটছিল বলেই চর্চা চলেছিল।
Be the first to comment