রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেটা জানতে চেয়ে শো-কজ করা হয়েছিল। আলাপন জবাবও দিয়েছিলেন। সোমবার পালটা কেন্দ্রের কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অধীনস্থ কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে সোমবার আলাপনের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে। সেই চিঠির ৬ নম্বর লাইনে উল্লেখ পেয়েছে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের আচরণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে করেছেন, তা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁর কাছে জবাব তলব করা হয়েছে, কেন তিনি বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবহার করেননি তা জানতে চেয়ে।
প্রসঙ্গত, আলাপনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে সার্ভিস রুল অনুসারে অবসরকালীন সমস্ত সুযোগ সুবিধা আটকে যেতে পারে। তদন্ত কমিটি যে অভিযোগগুলি তাঁর বিরুদ্ধে তুলবে, সেই অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ পাবেন আলাপন। লিখিতভাবে যদি তিনি জবাব না দেন, বা তদন্ত কমিটির মুখোমুখি যদি তিনি না হন, সেক্ষেত্রে একতরফা ভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হতে পারে। এমনটাই খবর সূত্রের।
কেন্দ্র বনাম মুখ্যসচিব বিতর্কে আলাপনকে শো-কজ করা হলে জবাবে তিনি চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতই তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে আসেন। একই চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পক্ষ থেকেও। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সেই জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি বলেই খবর।
Be the first to comment