করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করে দিল রাজ্য সরকার। এই কমিটি তৃতীয় ঢেউ আসার আগে প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেথবে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন হাসপাতাল প্রদর্শন ও পরিকাঠামোগত উন্নতি নিয়েও রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেবে এই কমিটি।
রাজ্য সরকারের তরফে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে রয়েছেন বিসি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পাল, স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনের যোগীরাজ রায়, বিভূতি সাহা, এসএসকেএমের চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, ডক্টর জি কে ঢালী, ডক্টর মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়, ডক্টর সৌমিত্র ঘোষ, ডক্টর মৃণাল কান্তি দাস, ডক্টর আশুতোষ ঘোষ ও আরজি করের চিকিৎসক ডক্টর জ্যোতির্ময় পাল।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নেতৃত্বে এই কমিটি কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, করোনার এই তৃতীয় ঢেউতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। সম্প্রতি এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে শিশুদের বেড বাড়ানো সহ একাধিক পরিকাঠামোগত ক্ষেত্র গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তৈরি এই বিশেষজ্ঞ কমিটি বিভিন্ন হাসপাতালে পরিকাঠামোগত ব্যাপারে খোঁজ নেবে ও ফাঁকফোকর মেরামতির ব্যাপারে নজর রাখবে। হাসপাতাল পরিদর্শন করে কোনও খামতি থাকলে তা পূরণের পরামর্শ দেবে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি।
জানা গিয়েছে, ১০ হাজার পেডিয়াট্রিক কোভিড বেড তৈরি রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি নতুন করে তিনশ এসএনসিইউ বেড গড়ে তোলার ব্যাপারে পরিকাঠামো তৈরির জন্য জেলা, মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসা জন্য ১৩০০ আইসিইউ বেড তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরো যদি কোনও পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি পরামর্শ দেবে।
এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কলকাতা পুরনিগম। কলকাতাতেই প্রথম তৈরি হচ্ছে শিশুদের জন্য সেফ হোম। সিঁথির হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে কর্মরত মহিলাদের হোস্টেলে ৬০ বেডের সেফ হোম তৈরি হবে। সেই হোমে মায়েদের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থাও থাকছে।
Be the first to comment