নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনায় কী কারচুপি হয়েছিল? রাজ্য–রাজনীতিতে এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ আজ হাইকোর্টে শুনানি চলছে নন্দীগ্রাম ভোটগণনা মামলায়। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে সেখানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বেলা ১১টায় এই মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করে চলেছেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তবে জোরদার সওয়াল জবাব চললেও রায়দান মুলতুবি রেখেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তিনি বিচারপতিকে বলেন, ‘বিচারপতি চন্দ আপনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক রয়েছে। আপনি সংশ্লিষ্ট দলের লিগ্যাল সেলের প্রধান ছিলেন।’ তাই এজলাস বদলের জন্য আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। এমনকী অনুরোধ করা হয় তিনি যেন স্বেচ্ছায় এই মামলা থেকে সরে যান। কিন্তু প্রধান বিচারপতির কাছে বেঞ্চ বদলের আবেদন জানিয়েও কেন তাঁর কাছে ফের আবেদন জানানো হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন কৌশিক চন্দ। তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক প্রধান। তাহলে এই আবেদন কেন?’
মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন–সহ একাধিক টুইটের উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাকে এই মামলা থেকে সরে যাওয়ার আবেদন করছি।’ বিচারপতি চন্দ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা যে মামলার নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দিহান তা আগে জানাননি কেন? কী এমন ঘটল যাতে শুনানি সম্পূর্ণ না করেই আপনাদের মনে হল সুবিচার পাবেন না! এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার।’ কিন্তু শুনানি শেষে আজ রায়দান হল না।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি করে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী এই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগ সামনে রেখে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। এই মুহূর্তে দুটি মামলার শুনানি চলছে। এক, মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে স্থানান্তরের। দুই, নন্দীগ্রামের ভোট ফলাফলের পুনর্গণনার। তবে বৃহস্পতিবার প্রথম মামলার শুনানিই হয়েছে। দ্বিতীয় বিষয়টি ধরা হয়নি। অন্যত্র মামলা সরানো নিয়ে তিনি কিছুই বলতে রাজি নন। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি রায়দান স্থগিত রেখেছেন।
Be the first to comment