কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে আলোচনার প্রস্তাব ঘিরে মতবিরোধ, চড়ছে পারদ

Spread the love

২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট। কাশ্মীরের ইতিহাসে এক অন্যতম দিন ছিল এটি। ২০১৯ সালের এই দিনেই সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। পাশাপাশি পুনর্গঠনের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। সেই ঘটনার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপত্যকার রাজনৈতিক নেতারা বৈঠকে বসছেন কাশ্মীরের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে। 

এদিন বৈঠক শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে কোণও আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না। জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির সভাপতি স্পষ্ট ভাবে জানালেন সর্বদল বৈঠকের আগে। এর আগে পিডিপির প্রধান মেহবুবা মুফতি মন্তব্য করেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার দোহায় গিয়ে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। তাহলে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে কেন্দ্র।’ তবে মুফতির এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি।

এদিকে সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপির একাংশ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সমিতি। এদিকে শুধু বিজেপি নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মুফতিকে সমর্থন না করার ইঙ্গিত দিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ। এদিন মোদীর সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওটা (পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা) তাঁর (মেহবুবা মুফতি) অ্যাজেন্ডা। আমার না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমার অ্যাজেন্ডা বলব।’

এই বিষয়ে রাজেন্দ্র রায়না বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কোনও ভাবে সম্ভব নয়। গুলিবর্ষণ এবং আলোচনা একসঙ্গে একটেবিলে হতে পারে না। পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি তৈরিক লক্ষ্যে ক্রমাগত জঙঅগিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান কাশ্মীরে রক্তপাতের মূল কারণ। তাই এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।’

প্রসঙ্গত, আজই কাশ্মীর নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করার কথা গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বেলা তিনটে থেকে শুরু হবে এই বৈঠক। জম্মু-কাশ্মীরের ১৪ জন নেতার সঙ্গে আজ বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এটিই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের এত বড় বৈঠক। বৈঠকে আমন্ত্রিত নেতারা ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। এদিকে বৈঠকের বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা পরিস্থিতি, তাতে বৈঠকের আগেই ক্রমশই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*