বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছল ৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির দল

Spread the love

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে বরাবরই শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। সেই সংঘাত এতটাই সুদূরপ্রসারী যে জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার, আদালতের নির্দেশে উত্তরবঙ্গে পৌঁছল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে এই বিশেষ কমিটি।

এদিন, মানবাধিকার কমিশনের তরফে ডিএসপি রাজবীর সিং ,  কুলবির সিং,  লাল বাহাদুর, কুলয়ান্ত  সিং-সহ আটজন বাগডোগরা বিমানবন্দরে আসেন। সেখান থেকে দলটি কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেয়। উত্তরবঙ্গে, বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করার পাশাপাশি শাসক শিবিরের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে পদ্ম শিবির। ঘন ঘন উত্তরবঙ্গে পাড়ি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা।

সম্প্রতি, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক জন বার্লা। বার্লা স্পষ্টই বলেছেন, “পিছিয়ে পড়ছে উত্তরবঙ্গ। নারীদের উপর শোষণ অত্যাচার, সন্ত্রাস বাদ নেই কিছুর।” বার্লার সুরে সুর মিলিয়েছেন মিহির গোস্বামী-সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব।

অন্যদিকে, বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে সম্প্রতি শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন। তারপরেই তড়িঘড়ি দিল্লিতে পাড়ি দেন ধনখড়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই উত্তরবঙ্গ সফর সারেন রাজ্যপাল। শুক্রবার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায় রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে ব্যর্থ রাজ্য় সরকার। 

উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের খতিয়ান তুলে ধরতে কেন্দ্রের তরফে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।  সে বার, সেই ঘটনার ব্যাপক সমালোচনা করে তৃণমূল। আবার, রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল প্রেরণে ক্রমেই বাড়তে চলেছে রাজনৈতিক সংঘাত এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*